লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির বহুল প্রতীক্ষিত কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।

সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সবুজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কাশেম নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৭ জুন) প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

দিনব্যাপী এই নির্বাচনী আয়োজন পর্যবেক্ষণ করেন লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এড. হাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক এম বেল্লাল হোসেন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আবদুল হান্নান ভূঁইয়া।

সভাপতি পদে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক ‘চেয়ার’ নিয়ে মো. হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ১৭৪ ভোট, যা তাকে বিজয়ী করেছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সোলায়মান (দেয়াল ঘড়ি) পেয়েছেন ১০১ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আলী করিম মেম্বার (ছাতা) ১০০, মো. শাহজাহান (ঘোড়া) ২, মো. আলী (দোয়াত কলম) ৫৬ এবং কাজী শহিদ (আনারস) পেয়েছেন ১৭ ভোট।

বিজয়ী হুমায়ুন কবির বলেন,“এই বিজয় আমার একার নয়, এটি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর বিজয়। সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করাই এখন আমার প্রধান কাজ।”

সাধারণ সম্পাদক পদে তোফাজ্জল হোসেন সবুজ (ফুটবল) পেয়েছেন ৩২২ ভোট এবং মো. মনির হোসেন (মাছ) পেয়েছেন ১২৬ ভোট। ফলে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সবুজ নিরঙ্কুশভাবে জয়ী হন।

বিজয়ের পর তিনি বলেন,“ইউনিয়ন বিএনপিকে তরুণ ও মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বে আরও সক্রিয় করাই হবে আমার অগ্রাধিকার।”

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আবুল কাশেম (বাস) ১৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমাম হোসেন টিপু (বই) পেয়েছেন ১৪০ ভোট, রফিকুল ইসলাম লিটন খলিফা (মোরগ) ৯৪ এবং মো. জামাল হোসেন পেয়েছেন ২১ ভোট।

আবুল কাশেম বলেন,“দলের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিটকে সংগঠিত করে মাঠের আন্দোলনে রূপ দেবো। বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলব চন্দ্রগঞ্জকে।”

কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দিনভর ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে। নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানাতে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।