
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: ঈদুল আযহা শুধু পশু কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি ত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর সেই চেতনার বাস্তব প্রয়োগ দেখা গেল লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায়।
শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আযহায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানো শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক অনন্য উদাহরণ গড়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম নোমান।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকতার হোসেন-এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় চন্দ্রগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে ঈদের দিন গরু কোরবানি করা হয়। এই কোরবানির মাংস দিয়ে থানার অফিসার, ফোর্স এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এক বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এতিমখানার শিশুদের, থানার বাবুর্চি ও ক্লিনারদের এবং আশপাশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়।
তবে এই আয়োজনে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিগোচর হয় ওসি ফয়জুল আজীমের মানবিক দায়িত্ববোধ, যখন তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন এলাকায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পারভেজ হোসেন, শহীদ মো. ইউনুস আলী শাওন এবং শহীদ মো. কাওসার হোসেন এর পরিবারে ঈদ সামগ্রী, কোরবানির মাংস ও প্রয়োজনীয় মসলা পৌঁছে দেন।
ওসি মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম নোমান বলেন,“ঈদের আনন্দ যদি শুধু নিজের জন্য হয়, তবে তা স্বার্থপরতা। কিন্তু ঈদের আনন্দ যখন শহীদ পরিবার, এতিম, গরিব-দুঃখীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যায়—তবেই সেটি পূর্ণতা পায়। পুলিশ শুধু আইন প্রয়োগকারী নয়, আমরা সমাজেরও অংশ।”
এই উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই বলছেন, পুলিশ ও জনগণের সম্পর্ক উন্নয়নে এটি একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: